উন্নত ও অনুন্নত সব দেশের সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কোভিড-১৯। শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে শুরু করেছে। অচিরেই এই সংকট কেটে যাবে এবং শিশুরা আবার মাঠে খেলবে ও স্কুলে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার (১০ অক্টোবর) ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল বিষয় ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য: অধিক বিনিয়োগ – অবাধ সুযোগ’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি চারজনে একজন ব্যক্তি তাদের জীবনদশায় অন্তত একবার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হন। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯২ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ওয়েবিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এ সময় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোভিড আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসিক স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন নাজমা খাতুন জানান, মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির গড় আয়ু সুস্থদের তুলনায় ১৫-২০ বছর কম। কম বাজেটের কারণে কম সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন।
ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জাং রানা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া করোনাকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা।
এছাড়াও নানা আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২০।